Skip to main content

Posts

Showing posts from July, 2020

প্রচ্ছদ ( July 2020 )

সকলের আশীর্বাদ এবং সহযোগিতাকে সঙ্গে নিয়ে প্রকাশিত হলো বীরভূম সংস্কৃতি বাহিনীর উদ্যোগে পদচিহ্ন সাহিত্য পত্রিকা ( তারাশঙ্কর সাহিত্যসভার মুখপত্র )  ম্যাগাজিনটি পড়ার নিয়মাবলী - ১| সম্পূর্ণ ম্যাগাজিনটি পড়তে ক্লিক করুন বামদিকের উপরে থাকা " Home " সুইচ এ । তারপর আপনারা একটি একটি করে দেখতে পাবেন এবারের সংখ্যার পোস্ট গুলি । যে লেখাটি পড়তে চান " Read more " বাটনে ক্লিক করলে সবটা পড়তে পারবেন। ২|  পড়ার পর নিজের অভিজ্ঞতা জানান নিচে কমেন্ট বক্সে । আর " Share " বাটন এ ক্লিক করে লিংক কপি করে নিয়ে নিজের মত করে এই ম্যাগাজিনটি সবাইকে পড়তে সুযোগ করে দিন। ৩|      এই ম্যাগাজিনের সমস্ত পোস্টের কপিরাইট তারাশঙ্কর সাহিত্যসভা এবং লেখকের নামে রেজিস্টার্ড । বিনা অনুমতিতে এই ম্যাগাজিনের কোনো লেখা ব্যবহার বারন । ( Copyright act 2019-20 )        ধন্যবাদান্তে - ডঃ উজ্জ্বল মুখোপাধ্যায় ( সম্পাদক , বীরভূম সংস্কৃতি বাহিনী ) , সুনীল পাল ( সভাপতি , তারাশঙ্কর সাহিত্যসভা ) , অর্ঘ্য মুখার্জ্জী ( সম্পাদক, তারাশঙ্কর সাহিত্যসভা ) প্রথম সংখ্যা 

উত্তরণের কবি তারাশংকর - অতনু মুখাজ্জী

রাঢ়ের বাল্মীকি তারাশংকর বন্দ্যোপাধ্যায়ের ১২৩ তম জন্মজয়ন্তীতে আমার  ব্যক্তিগতভাবে মনে হলো তিনি তাঁর সাহিত্যে যে উত্তরণের কথা বলে গেছেন আজ তাঁর জন্মদিন পালন কি সেই সত্যের  ইঙ্গিত দেয় না?সমাজ যেমন পাল্টায়,তেমনি তার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে বদলায় তার সংস্কার তার সংস্কৃতি। গত বছর পর্যন্ত  আমরা লাভপুর এবং পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের মানুষজন তাঁর জন্মদিন  যেভাবে  পালন করে এসেছি,আজ তাঁর জন্মদিন পালন করলাম  সম্পূর্ণ ভিন্নরূপে ভিন্নভাবে। প্রযুক্তির যুগে জন্মদিন পালনের এই যে অভিনবত্ব তাও তো একপ্রকার উত্তরণের দৃষ্টান্ত।বাড়িতে বসে প্রণাম  জানানোর  অভিনব  এই পদ্ধতি আমরা কিছুকাল আগেও  বোধ হয় ভাবতে পারিনি।মনে পড়ে যায় 'তমসা' গল্পের অন্ধ পঙ্খির কথা।যে টেলিগ্রাফের পোষ্টে কান পেতে  বর্ধমানের ঝুমুর দলের দিদিমণির সাথে  কথা বলবার বৃথা চেষ্টা  করেছিলো।সেদিন  তা হাস্যকর মনে হলেও কিন্তু পরবর্তীতে সেই হাসি সত্যে পরিণত হয়েছিলো। আজ ধাত্রীদেবতায় অল্পসংখ্যক মানুষের উপস্থিতিতেও বৃহৎ সংখ্যক মানুষকে বাড়িতে  বসিয়ে এই তর্পণ যোগ্যে সামিল করতে পারাটাও তারাশংকর কথি...

আমার নাট্যজীবনে তারাশঙ্কর - মহাদেব দত্ত

আমার নাট্যজীবনে প্রথম বাঁকবদল এসেছিল 'সন্ন্যাসী বিবেকানন্দ'র হাত ধরে।  প্রায় ওই একই সময়ে, সম্ভবত ১৯৮৭ সালে, এলো দ্বিতীয় বাঁক। এর আগে প্রধানত ফটিকবাবু অর্থাৎ ডাঃ বঙ্কিম মুখোপাধ‍্যায়ের উদ‍্যোগে প্রতিকৃতিতে মাল‍্যদান প্রভৃতির মাধ্যমে এই দিনটি উদযাপিত হতো। সেবার বড় করে অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা হলো। ৮ই শ্রাবণের আগের দিন এলেন দিদিভাই পত্রিকার সন্তু সেনগুপ্ত, তাঁর সঙ্গে বিজয় কুমার দাস, আদিত্য মুখোপাধ্যায় ও চন্দ্রমোহন সিংহ। পরদিন কলকাতা থেকে এলেন উমাশঙ্কর হালদার, যিনি হলধর পটল ছদ্মনামে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় লিখতেন। তিনিই ছিলেন সেদিনের প্রধান বক্তা। তারাশঙ্করের কনিষ্ঠ পুত্র সরিৎ বন্দ‍্যোপাধ‍্যায় তো সস্ত্রীক ছিলেন‌ই। এছাড়া সিউড়ি থেকে প্রবীণ সাংবাদিক রমানাথ সিংহ, অধ্যাপক কৃষ্ণনাথ মল্লিক, কিশোরী রঞ্জন দাশ সহ সারা বীরভূমের সকল সাহিত্যসেবী এবং তারাশঙ্করপ্রেমীরা সেদিন সকালে এসে জড়ো হলেন তারাশঙ্করের বৈঠকখানা বা 'ধাত্রীদেবতা'য়। বক্তৃতা, স্মৃতিচারণ, গান সবই হলো। আর আমরা পরিবেশন করলাম শ্রুতিনাটক 'রাইকমল'।'রাইকমল'-এর নাট্যরূপ আমারই দেওয়া। এর পর থেকে প্রতি বছরই আমরা তারাশঙ্করের জ...

তারাশঙ্কর স্মরণে - গৌর গোপাল পাল

কথার পীঠে কথা দিয়ে,যে গল্প যায় বানিয়ে, সেই গল্পের গল্পকার,তারাশঙ্কর নামটি তার, তাদেরই সে একজনা। বীরভূমেরই লাভপুরে, ফুল্লরা মা'র অদূরে, ধাত্রীদেবতা নাম ধরে,জন্মভিটে রয় পড়ে, এই কথাতো মিথ্যে না।। এই জন্ম বছরটি তার, করছি পালন আমরা এবার, যেমন করেছি অন্যান্য বার- এবার কিন্তু তেমন না।। গণদেবতায় জ্ঞানপীঠে-  সেই সাহিত্যিক রয় ফুটে, সাহিত্য তার সৃজনশীল, অঞ্জলি তাই করপুটে; আছেন যারা জ্ঞানী-গুণী, এবার তাদের কথা শুনি, শেষ করে এই লেখাখানি- তাদের করি বন্দনা।। - গৌর গোপাল পাল 

তারাশঙ্করের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি - বিধান ভট্টাচার্য

কোন শুভক্ষণে জন্ম নিয়ে এসেছিলে তুমি ধরায়। তোমার গর্বে গর্বিত হয়ে আমরা করছি বড়াই।। বীরভূমের এই লাল মাটিতে জনম নিয়েছ তুমি।  তোমারি জন্য আলোকিত আজ তোমারি প্রসূতি ভূমি।। প্রতিষ্ঠিত তোমার সেই গোলাবাড়ি নীরবে রয়েছে বসে। কত নর-নারী প্রণাম করে ধাত্রীদেবতা এসে।। বাল্য কৈশোর কাটিয়ে গেলে যাদব লালের বুকে। কলকাতাতে স্বদেশী হলে লালমুখোদের  চোখে।। গৃহে ফিরে এসে নজরবন্দি হলে যে দু তিন মাস।। তাতেও তাদের শান্তি মেটেনি শেষে দিল কারাবাস।। কারাবাস থেকে গ্রামেতে ফিরেও হওনি তুমি মুক্ত। গ্রাম-গ্রামান্তরে সমাজসেবায় কর্মেতে হলে যুক্ত।। কিছুকাল বাদে অট্টহাসেতে আসিল যে নজরুল। কাছেতে ডাকিয়া পিঠে হাত দিয়া ভাঙ্গাইলো তবে ভুল।। তোমার কলমে প্রকাশ পেয়েছে দীন-দরিদ্রদের ব্যথা। বীরত্বের সাথে লিখে গেছো তুমি অত্যাচারের কথা।। দেবদূত সম মহান তুমি ধন্য তোমার সততা। শ্রেষ্ঠ তোমার সেই উপন্যাস নাম যার গণদেবতা।। এর সেবাই পূজারীর সাজে করিলে অঙ্গীকার। যোগ্য রূপেতে তাইতো পেয়েছো জ্ঞানপীঠ পুরস্কার।।

তারাশঙ্করের সাতন পণ্ডিত - কেদারনাথ আচার্য্য

রাঢ় বাল্মীকি তাঁর আমার কালের কথায় লিখছেন– " সাতন পণ্ডিত আমার ইস্কুল জীবনের প্রথম শিক্ষক । আমি প্রায়ই তাঁর কথা মনে করি । কখনো কখনো এই সকরুন জীবনকাহিনী নিয়ে উপন্যাস লেখার কথা ভাবি কিন্তু বুঝতে পারি না, তাঁর এই দুর্ভাগ্যকে কোন ব্যাখ্যানে ব্যাখ্যা করব ?  জন্মান্তরের কর্মফল ? অদৃষ্টের পরিহাস ? সে আমি পারি না । তাঁর জীবনের ইতিহাসের অন্ধকারে ডুবে -- তাঁর চরিত্রের যে ছিদ্রপথে এ পাপ ঢুকে তাঁর জীবনটাকে এমন ছিন্নভিন্ন করে দিলে তাকে আবিষ্কার করতে সাহস পাই না আমি । তাঁকে আমি শ্রদ্ধা করি --- ভালোবাসি, তাই তাঁর  জীবনকাহিনী নিয়ে উপন্যাস রচনার অভিপ্রায়  মন থেকে মুছে ফেলেছি ।"        সেদিন ছিল বিজয়া দশমী । প্রতিবছর লাভপুর সহ পঞ্চগ্রামের ধর্মপ্রাণ মানুষ এই দিন অপরাহ্নে ফুল্লরা মহাপীঠে আসে অন্তরের প্রণাম নিবেদন করতে । প্রণামের পর  মাংস-মুসুরির প্রসাদ গ্রহণও দীর্ঘদিনের প্রথা । বাবার সঙ্গে গেছি । সেখানে একটি মানুষকে মন্দিরের আটচালায় বাবা প্রণাম করলেন । তাঁকে আমি চিনি না চিনতাম তাঁর পাশে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষটিকে তিনি বাবার বাল্যবন্ধু পলাশ বন্দ্যোপাধ্যায় । তাঁকে বা...

শ্রদ্ধা আর ভালোবাসার কিছু স্মৃতি কথা : তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় স্মরণে - দীপান্বিতা মন্ডল

কবে থেকে যে সাহিত্যিক তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখার অনুরাগী পাঠিকা হয়ে পড়েছিলাম আজ আর মনে পড়ে না । সেই কোন ছোট্টোবেলা থেকে বাপির মুখে ওঁর নাম অসংখ্যবার শুনেছি নানা কারনে । বাপিরও প্রিয় সাহিত্যিক ছিলেন তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় - বাপির কাছেই প্রথম শুনেছিলাম " হাঁসুলি বাঁকের উপকথা"র কাহিনী । বাপিদের ছাত্রাবস্থায় ঐ উপন্যাস প্রকাশিত হবার সঙ্গে সঙ্গেই সারা বাংলায় কিভাবে তিনি আপামর বাঙালী পাঠকদের কাছের মানুষ হয়ে উঠেছিলেন শুনতাম সে গল্পও । রাঙামাটির রস রঙ রূপ গন্ধ বর্ণ , স্থানীয় খেটে খাওয়া মানুষদের অকৃত্রিম জীবনের ছবি এঁকে বাংলা সাহিত্যে যে নতুন মণিমানিক্যের ভান্ডারটি সৃষ্টি করলেন তার হদিস প্রথম পেয়েছিলাম বাপির কাছ থেকেই। গল্প শুনতাম যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার সময় বাপিরা বন্ধুরা মিলে তাঁর টালা পার্কের বাড়ীতে ছুটির দিনে ছুটত নতুন গল্পের স্বাদ নিতে নয়ত তাঁর কোন গল্পের ওপর ভিত্তি করে উত্তম সুচিত্রার পরের ছবিটা হতে চলেছে তার কাহিনী শুনতে । তাঁর প্রতি এ হেন ভালোবাসাই পরবর্তীকালে আমার মধ্যেও যে সঞ্চারিত হয়নি একথা না বললে সত্যের অপলাপ করা হবে । তাই দুর্গাপুরে পোস্টিং থাকার ...

হাসি-অশ্রু মাখা একটি জন্মদিনের কথা - সুনীল পাল

এ বছর লাভপুরে তারাশঙ্করের জন্মদিন জনসমাগমহীনভাবে অনলাইনে উদযাপন করতে বাধ্য হচ্ছি আমরা। ইচ্ছে ছিল এই উপলক্ষে লাভপুরে 'তারাশঙ্কর প্রণাম'-এর একটি ধারাবাহিক বিবরণ দেবো। কিন্তু সময় সংক্ষেপের কারণে সে ইচ্ছে আপাতত স্থগিত রাখতে হচ্ছে। আমরা বরং দৃষ্টি দিই তারাশঙ্করের বিশেষ একটি জন্মদিনের অনুষ্ঠানের দিকে।  সেবার, ১৩৫৪ সালের ৮ই শ্রাবণ তারাশঙ্কর ঊনপঞ্চাশ বছর পূর্ণ করে পঞ্চাশে পা দিয়েছেন। সেই উপলক্ষে ১০ শ্রাবণ রবিবার কলকাতার নিউ শ্যামবাজার স্ট্রিটের কে বি ক্লাব প্রাঙ্গণে তাঁর পঞ্চাশতম জন্মোৎসব পালন করা হল। তাঁর পরিবারের লোকজন ছাড়াও সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলার বহু সাহিত্যিক। সজনীকান্ত দাসের নেতৃত্বে তাঁরাই আয়োজন করেছিলেন এ অনুষ্ঠানের। অনুষ্ঠান শুরু হয়েছিল সুকৃতি সেন রচিত ও সুরারোপিত এবং তাঁরই গাওয়া একটি উদ্বোধনী সংগীত দিয়ে -- "ভালবাসা দিয়ে বরি বন্ধুরে, প্রেমের গর্বে লই যে নাম, / প্রতিভাদীপ্ত মধ্য-আকাশে ঘাসের ফুলের লও প্রণাম।" সেদিন যাঁরা উপস্থিত ছিলেন, কবিতায়, বক্তৃতায় তারাশঙ্করকে সংবর্ধনা জানিয়েছিলেন তাঁরা হলেন প্রেমাঙ্কুর আতর্থী,বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রবোধকুমার সান্য...

রাঢ়ের বাল্মীকি - সারদামণি মণ্ডল

সাহিত্যের আকাশ জুড়ে কত না নক্ষত্র তারই মাঝে লুব্ধক সম তুমি যে অনন্য ১৩০৫' এর ৮' ই শ্রাবণ লাভপুরে জন্ম জগৎ জুড়ে নাম করেছে তোমার সকল কর্ম।  'পঞ্চ গ্রাম ' 'কবি' র মত কালজয়ী সৃষ্টি 'সপ্তপদী' লিখে তুমি কাড়লে সবার দৃষ্টি 'গণদেবতা' নিয়ে এল জ্ঞানপীঠ পুরস্কার সবকটি উপন্যাসই ভীষণ চমৎকার হাঁসুলি বাঁক চিনলো লোকে তোমার সৃষ্টি পড়ে দেশ বিদেশে দিয়েছো পাড়ি লেখনীর হাত ধরে লাভপুরের খ্যাতি যেমন মা ফুল্লরার নামে ধাত্রীদেবতার প্রাঙ্গনও মানুষকে টানে পাতার পর পাতা জুড়ে লিখেও যদি যায় তবুও তোমার কীর্তি কথা শেষ না হয় চিরন্তন সেই খেদ সবার মনের কোণে ভালোবেসে মেটেনা সাধ জীবন ছোট কেনে?  মারগ্রাম, বীরভূম ২৭/০৭/২০১৯

Tarashankar Murti at Dhatridevata

২০১৮ সালের স্মৃতি থেকে ( শ্রদ্ধেয় সাহিত্যিকের মূর্তিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করছেন জগন্নাথের রথ-এর আশু ডাক্তার তথা লাভপুরের বিশু ডাক্তার ( ডাঃ সুকুমার চন্দ্র )